Breaking News

বাংলাদেশে মদ্যপান: নতুন অ্যালকোহল বিধিমালায় যা বলা হয়েছে

 


  • রাকিব হাসনাত
  • বিবিসি বাংলা, ঢাকা
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা প্রণয়ন করেছে।

ছবির উৎস,GETTY IMAGES

ছবির ক্যাপশান,

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা প্রণয়ন করেছে।

বাংলাদেশের নতুন অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অনুযায়ী ২১ বছরের নীচে কেউ মদ্যপানের পারমিট পাবে না।

এ বিধিমালায় মূলত অ্যালকোহল জাতীয় মাদকদ্রব্য কোথায় বেচাকেনা হবে, মদ্যপায়ীরা কোথায় বসে মদ পান করবেন, পরিবহন করতে পারবেন কি না - এসব বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে বলে বলছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

ফলে এখন থেকে অ্যালকোহল আমদানি, রপ্তানি, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সরবরাহ, বিপণন ও ক্রয় বিক্রয় এবং সংরক্ষণের জন্য অ্যালকোহল পারমিট, লাইসেন্স বা পাস গ্রহণ করতে হবে।

বিশেষ করে মদ বা মদ্য জাতীয় পানীয় পানের জন্য পারমিট আর পরিবহনের জন্য পাস বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এ বিধিমালায়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক ডঃ দুলাল কৃষ্ণ সাহা বলছেন বিধিমালা না থাকার কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে। পারফিউম স্যানিটাইজার তৈরিতে কিংবা শিল্পে ব্যবহৃত অ্যালকোহল খেয়ে মারা যাওয়া কিংবা অন্ধ হয়ে যাওয়ার খবরও এসেছে।

"এবারই প্রথম বিধিমালা করা হলো। এর আগে এ সংক্রান্ত কোন বিধিমালা ছিলো না। শৃঙ্খলা আনার পাশাপাশি অ্যালকোহলের নামে খারাপ কিছু যেন বিক্রি না হয় আর সরকার যাতে রাজস্ব পায়- এসব

বিষয় বিবেচনা করে নতুন এই বিধিমালা করা হয়েছে," বলছিলেন তিনি।

বাংলাদেশে দেশি কোম্পানি উৎপাদিত মদ।
ছবির ক্যাপশান,

বাংলাদেশে দেশি কোম্পানি উৎপাদিত মদ।

প্রসঙ্গত বাংলাদেশে গত কিছুদিন ধরেই ইয়াবা, আইস বা মেথ, এক্সটেসি এবং এলএসডির মতো মাদকের ব্যাপক ব্যবহার ঠেকাতে মদ বা বিয়ারের ওপর শুল্ক কমানোসহ অ্যালকোহলে ছাড় দেয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসছে।

গত ডিসেম্বরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি আলোচনায় এসেছিলো।

ওই বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো যে দেশে অ্যালকোহলের ওপর ৬০০ শতাংশ শুল্ক থাকায় যেসব ক্লাবের অ্যালকোহলের লাইসেন্স আছে তারা কেউ আমদানি করে না, কারণ ট্যাক্স দিতে হয় বেশি।

মিস্টার সাহা বলছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরও এ বিষয়ে এনবিআরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

"আমরা মনে করি এনবিআর এটি বিবেচনা করলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে ও দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে," বলছিলেন তিনি।

বাংলাদেশে 'মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮' থাকলেও সেই আইনের আওতায় কোন বিধিমালা ছিলো না। মূলত ১৮৫৭ সালের ম্যানুয়ালই বিধিমালা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিলো।





Download File

মিস্টার সাহা বলছেন এখন সময় পাল্টেছে। মানুষ বেড়েছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে সাথে নানা কারণে প্রচুর বিদেশি বাংলাদেশে আসছে। ফলে অ্যালকোহলের চাহিদা অনেক বেড়েছে।

এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই বিধিমালাটি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ খাত থেকে সরকারের অনেক রাজস্ব আদায়ের সুযোগ আছে এবং তা নিয়েই এখন কাজ চলছে।

No comments