Breaking News

বেশি খান, তবে নিয়ম করে


 

শুধু খাওয়া হলে তাও ঠিক আছে৷ কিন্তু এখনকার পার্টি যে মদ্যপান ছাড়া জমেই না৷ আর তার জন্যে আরও বেশি করে সতর্ক থাকা প্রয়োজন৷ ভাবছেন, সোনার পাথরবাটি! একেবারেই না৷

বাংলা নববর্ষে খাওয়া-দাওয়া তো হবেই৷ কিন্তু তারপরেও সুস্থ থাকতে হবে৷ একদিন অনিয়ম করুন৷ কিন্তু নিয়ম মেনে৷ জানাচ্ছেন সুজাতা মুখোপাধ্যায়
শুধু খাওয়া হলে তাও ঠিক আছে৷ কিন্তু এখনকার পার্টি যে মদ্যপান ছাড়া জমেই না৷ আর তার জন্যে আরও বেশি করে সতর্ক থাকা প্রয়োজন৷ ভাবছেন, সোনার পাথরবাটি! একেবারেই না৷ পার্টিতে যাওয়ার ঠিক আগে বেশ করে তেল-ঘি-মাখন-চিজে ঠাঁসা খাবার খেয়ে গিয়ে দেখুন না কী হয়৷ তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার পাকস্থলীতে এমন প্রলেপ ফেলবে যে তাকে ভেদ করে অ্যালকোহল পুরোপুরি শোষিত হতে পারবে না৷ ফলে আপনি আনলিমিটেড খেলেও শরীরের জন্য তা লিমিটেডই
থাকবে৷ তবে হ্যাঁ, বুঝতেই পারছেন, এরও কিন্তু একটা লিমিট আছে৷

পছন্দ হল না? তাহলে গোটা কয়েক আধপোড়া টোস্ট খেয়ে নিন৷ কালো কার্বনগুলো মদের বিরুদ্ধে ফিল্টারের কাজ করবে৷ তাও না-পসন্দ? একগ্লাস দুধ খান৷ বা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ট্যাবলেট৷ ইচ্ছে হলে মিলিয়ে মিশিয়ে খেতে পারেন৷ পার্টি চলাকালীনও যদি একটু সচেতন থাকতে পারেন, তাহলে তো হয়েই গেল৷

বাড়ি থেকে পেট ভরে খেয়ে এলে ভালো, না খেয়ে এলে মদ খাওয়ার আগে আগে যেমন বলেছি সে রকম একটু কিছু খান৷ এরপর শুরু হোক মদ্যপান৷ ঘণ্টায় একটা ড্রিঙ্ক৷ হ্যাঁ, হ্যাং ওভার এড়আতে চাইলে এটাই আপার লিমিট৷ ধীরে ধীরে ড্রিঙ্ক করলে তার খারাপ এফেক্ট কম হয়৷ গাঢ় রংয়ের মদের চেয়ে হালকা মদে বিপদ কম৷ কাজেই রেড ওয়ান, গাঢ় রংয়ের রাম খাওয়ার বদলে হোয়াইট ওয়াইন, ভোদকা, জিন ইত্যাদি খেতে পারেন৷ পর দিন অফিস-কাছাড়ির পর্ব থাকলে ক্যাফেইন মেশানো ককটেল ‘না করাই বুদ্ধিমানের কাজ৷ কারণ ড্রিঙ্ক করলে এমনিতেই শরীরে জলশূণ্যতা হয়, এই জাতীয় ককটেল তার প্রবণতা আরও বাড়িয়ে গা-বমি, মাথা ভার ইত্যাদির প্রকোপ বাড়ায়৷ আর হ্যাঁ, দুটো ড্রিঙ্কের মাঝে কখনও এক গ্লাস জল, কখনও জ্যুস খান৷ শরীর হাইড্রেটেড থাকলে হ্যাং ওভার কম হয়৷ বাড়ি ফিরে এক গ্লাস জল ও একটা ভিটামিন বড়ি খান৷ ওআরএসও খেতে পারেন৷ মাথার কাছে এক জগ জল রেখে যত তাড়াতাড়ি পারেন ঘুমিয়ে পড়ুন৷ যখনই ঘুম ভাঙবে, খানিকটা করে জল খেয়ে নেবেন৷ সকালে উঠে যদি মুখ শুকনো লাগে, মাথা ঝিম ঝিম করে এক গ্লাস ওআরএস খান৷ মাথাব্যাথা-ক্লান্তি চেপে ধরলে কড়া কফি খান এক কাপ৷ ভালো করে স্নান করুন৷ ব্রেকফাস্ট খেতে ইচ্ছে না হলে, খুব ক্লান্ত লাগলে ডাব বা লেবুর জল খান৷ স্পোর্টস ড্রিঙ্কও থেকে পারেন৷ আসলে অতিরিক্ত অ্যালকোহলের প্রভাবে শরীরে পটাসিয়ামের যে অভাব হয় তা মেটাতেই এই ব্যবস্থা৷




Download File


সারা দিন ধরে ক্লান্তি ও গা-বমি লেগে থাকলে সলিড খাবার না খেয়ে ডাবের জল, সরবত্‍, ফলের রস
জাতীয় খাবার খেতে পারেন৷ হ্যাং ওভার কাটাতে ডিম ও কলার ভালো ভূমিকা আছে৷ ডিমের সিস্টিন ও কলার পটাসিয়ামের যোগসাজসে শরীর দ্রুত ঠিক হয়ে যায়৷ কাজেই গা-বমি না করলে ডিম, টোস্ট, কলার ব্রেকফাস্ট করে নিতে পারেন৷ মাথায় মারাত্মক দপদপে ব্যথা, ভয়ানক মেজাজ খারাপ, গা-হাত-পা ব্যথা, গা-বমি ইত্যাদি চেপে ধরলে, যদিও যে যে নিয়মের কথা বলা হয়েছে তা করলে এ রকম হওয়ার চান্স কম, ব্যথার ওষুধ, কফি বা দু-পাত্তর খেয়ে নেওয়ার যে ট্রাডিশন আছে, তা করা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই৷

No comments