সঠিক উপায়ে পড়াশোনা করার ১১টি নিয়ম2
৬. লেকচার সংগ্রহ করুন
ক্লাস লেকচার তোলার অভ্যাস করবেন। প্রতি সাবজেক্ট/কোর্সের জন্য আলাদা খাতা বানিয়ে নিবেন যাতে লেকচার সহজে তুলতে পারেন। শুধু কি-পয়েন্টগুলো টুকে রাখবেন খাতায়, সবটা তুলতে না হললেও হবে। পরীক্ষার সময় শুধু কি-পয়েন্টগুলো দেখলেও সিলেবাস সম্পর্কে
বিভিন্নভাবে লেকচার বা ক্লাসনোট সাজাতে পারেন সহজে মনে রাখার জন্য। জ্যামিতিক আকৃতি বা গাছের শেইপে এঁকে সাজাতে পারেন। তীর-চিহ্ন ব্যবহার করতে পারেন সিরিয়াল মেইনটেইনের জন্য। ছন্দে ছন্দে মনে রাখার টেকনিকও ব্যবহার করতে পারেন।
৭. গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মুখস্ত করুন
পড়াশুনা মানেই তোতা পাখির মত মুখস্ত করে খাতায় ঢেলে দেয়া না। শুধু মুখস্ত না করে বুঝে বুঝে পড়তে হবে আপনাকে। তবুও কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আছে যেগুলো আপনাকে মুখস্ত করতেই হবে –
- টাইটেল বা নাম
- বানান
- গুরুত্বপূর্ণ সাল
- কোনকিছুর সংজ্ঞা
- ঐতিহাসিক ঘটনা ইত্যাদি।
৮. মার্ক করা অত্যাবশ্যক
গুরুত্বপূর্ণ লাইন, টার্ম ইত্যাদি মার্ক করে রাখবেন। চাইলে বিভিন্ন রঙের কালি ব্যবহার করতে পারেন৷ চাইলে স্টিকি নোট বা আঠালো কাগজও ব্যবহার করতে পারেন। যেমন কোন চাপ্টারে কি কি আলোচনা করা হয়েছে, সেটা একটা আঠালো কাগজে পয়েন্ট আকারে লিখে চাপ্টারের উপরের কোণায় এঁটে দিতে পারেন।
৯. সামারি পড়তে পারেন
একটা ওয়েবসাইটে হয়তো দেখবেন খুবই ছোট এবং টু-দ্য-পয়েন্ট আকারে লেখা, আরেকটা ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখবেন একই জিনিসের উপর একটু ভিন্ন এবং একটু বড় করে সামারি লেখা আছে। কাজেই সামারি পড়ার সময় বিভিন্ন ওয়েবসাইট অনুসরণ করবেন।
ইংরেজী গল্প, কবিতা, উপন্যাসের সামারির জন্য কিছু ভাল ওয়েবসাইট আছে –
১০. গুছিয়ে রাখুন
১১. প্রযুক্তিনির্ভর হবেন না
এই ডিজিটাল যুগে অনলাইনভিত্তিক লার্নিংয়ের কদর বেশি।পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সোশ্যাল
মিডিয়া থেকেও জ্ঞান আহরণ করা যায় অনায়াসেই। তবে সবসময় প্রযুক্তিকে কাজে না লাগানোই ভাল। পড়ার সময়টায় চেষ্টা করবেন ইন্টারনেট যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করতে৷ আপনি গুগল বা ইউটিউবে কিছু সার্চ করতে গেলেন, আপনাআপনিই আপনার মনোযোগ চলে যাবে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে। ফলাফল কি? সোশ্যাল মিডিয়াতেই আপনার পড়ার সময়টা চলে যাবে। কাজেই চেষ্টা করবেন ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট থেকেই শতহাত দূরে থাকার।
No comments