Breaking News

সঠিক উপায়ে পড়াশোনা করার ১১টি নিয়ম

 কখনো কি ভেবেছেন পড়াশোনা করার নিয়ম এর ব্যাপারে? বা কিভাবে সহজে নিয়মমাফিক পড়াশোনা করা যায়? এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য আজকের এই আর্টিকেল লেখা।



কেউ হয়তো ২৪ ঘন্টায় ৮/৯ ঘন্টা পড়াশোনা করে, কেউ হয়তো সর্বোচ্চ ২/৩ ঘন্টা পড়ে। কেউ সারাবছর ক্লাস, কোচিং করতে করতে হাঁপিয়ে উঠে, কেউ হয়তো নামেমাত্র ক্লাস করে। কেউ সারাবছর কঠিন মনোযোগ দিয়ে পড়ে,

কেউ বা শুধু পরীক্ষার আগের রাতে পড়তে বসে।

কেউ হাজারবার পড়েও ভুলে যায়, আবার কেউ অল্প পড়েও মনে রাখতে পারে অনেকদিন। আপনার ক্লাসে একটু খেয়াল করলে এই সব ধরণের শিক্ষার্থী খুঁজে পাবেন। পড়াশোনা জিনিসটা এমন, যা সবাই করতে না চাইলেও বাধ্য হয়ে করে। এই তেতো জিনিসটা যদি কারো মিঠা লাগে, তাহলে সেটা আলাদা ব্যাপার।

পড়াশোনা করার নিয়ম

এক নজরে সম্পূর্ণ লেখা  দেখুন 

তবে একটা কথা সত্য, পড়াশোনা মোটেও সহজ কোন বিষয় না। বিশেষ করে আপনি যদি নতুন ক্লাস বা সেমিস্টার শুরু করতে যান, তাই পড়াশোনা নিয়ে ভীতি তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। পড়াশোনার মত কঠিন বিষয়টাকে আয়ত্তে আনাও আবার খুব একটা কঠিন কিছু না। পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায় সাথে বৈজ্ঞানিক কৌশল

স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সিলেবাস আলাদা, ভিন্ন সিলেবাস হলেও কিছু সাধারণ টেকনিক ফলো করে রেজাল্ট ভাল করা সম্ভব। এই আর্টিকেলে পড়াশোনা করার কিছু সহজ নিয়ম সহজ ভাষায় বর্ণনা করা হয়েছে। সাথে আরো পাবেন কিছু সাজেশন, যেটা আপনার পড়াশোনাকে সহজ করে তুলবে।

১. আত্মবিশ্বাস বাড়ান

সবার আগে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ান৷ আত্মবিশ্বাস বাড়ালে যেকোন কঠিন কাজই সহজ মনে হবে। নিজের উপর আস্থা রাখবেন৷ ‘পারব না, হবেনা’ এসব বারবার ভাবলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে।

পড়াশোনার ক্ষেত্রেও তাই। বারবার যদি ফেল করার টেনশন করতে থাকেন, তাহলে আপনার

আত্মবিশ্বাস কমবে। কাজেই আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করুন সবার আগে।

২. নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করুন

নিয়মমাফিক পড়াশোনার প্রথম শর্ত নিয়মিত ক্লাস করা। যতটা পারবেন ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করবেন। আরো ভাল হয় যদি সব ক্লাস অ্যাটেন্ড করতে পারেন। আপনি যদি একটা ক্লাস মিস করেন, তাহলে পরের ক্লাসে গিয়ে অনেককিছুই বুঝতে পারবেন না। এতে ধারাবাহিকতা নষ্ট হবে। তাই নিয়মিত ক্লাস করার চেষ্টা করুন।

লকডাউনে অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রেও এই নিয়মটা পালনের চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব। অনলাইন ক্লাস বলে হেলাফেলা করার কিছু নেই। নিয়মিত ক্লাস করুন, অ্যাসাইনমেন্ট/হোমওয়ার্ক/প্রেজেন্টেশন কমপ্লিট করুন।

৩. রুটিন তৈরি করুন

সুবিধামত একটি রুটিন তৈরি করবেন। রুটিন তৈরির ক্ষেত্রে কঠিন সাবজেক্টের উপর বেশি প্রাধান্য দিবেন। এটার জন্য সময়ও বরাদ্দ রাখবেন বেশি। তুলনামূলক সহজ সাবজেক্টের ক্ষেত্রে সময়টা কম রাখতে পারেন কিন্তু আবার বেশি কম যেন না হয় সেটাও খেয়াল রাখবেন। রুটিনে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি মুভি দেখা, গান শোনার জন্য একটু সময় বরাদ্দ করলে মন্দ হয় না।

৪. বই সাথে রাখবেন

সবসময় রুটিন অনুযায়ী বই সাথে রাখার চেষ্টা করবেন। অন্যের বইয়ের উপর ভরসা করে থাকবেন না একদম। নিজের বই থাকলে যে সুবিধাটা হয় সেটা হল, প্রয়োজনে লাইন দাগিয়ে রাখতে পারবেন বা সাইড নোট লিখতে পারবেন।

তবে হ্যাঁ, যদি এমন হয় যে আপনার বইটা বা বইগুলো ভারী অনেক, বহন করতে কষ্ট হচ্ছে; সেক্ষেত্রে পিডিএফ কপি রাখতে পারেন। বা যেদিন যে চাপ্টার পড়ানো হবে সেই চাপ্টারের ফটোকপি করে রাখতে পারেন। বড় এবং ভারী বইকে ভেঙে অধ্যায় অনুযায়ী ভাগ করেও রাখতে পারেন।

পড়াশোনা করার নিয়ম

৫. শিক্ষককে মেনে চলুন




Download File

শিক্ষকের প্রতিটা কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবেন, নির্দেশনা মেনে চলার চেষ্টা করবেন। তিনি যা পড়াচ্ছেন যেভাবে পড়াচ্ছেন বুঝে নেয়ার চেষ্টা করবেন। তিনি যদি কোন বই/আর্টিকেল/মুভি/জার্নালের রেফারেন্স দেন, সেগুলো সংগ্রহ করার চেষ্টা করবেন। কোন সমস্যা হলে নির্দ্বিধায় জিজ্ঞেস করবেন।

No comments