পাগল কত প্রকার
ভূমিকা
একসময় বলা হতো নদীর দেশ বাংলাদেশ, মাছের দেশ বাংলাদেশ, ফুলের দেশ বাংলাদেশ কিন্তু এখন সবাই বলে, পাগলের দেশ বাংলাদেশ!
পাগলের প্রকারভেদ
বিভিন্ন রকম পাগল হয়।
পাগলের বৈশিষ্ট্য
মানসিক আবহাওয়া ভেদে পাগলরা নানা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়ে থাকে। যেমনÑ কবি পাগলরা শুধু কারণে অকারণে কবিতা লিখে থাকে। কে বলে পাগল, আমি বলি ছাগলÑ এই জাতীয়। ছবি পাগলরা সারাক্ষণ মুখ বাঁকিয়ে ছবি তোলে। এটাকে আধুনিক ভাষায় বলা হয় সেলফি। বিয়ে পাগলরা দেশের সব জেলায় বিয়ে করতে পছন্দ করে। প্রেম পাগলরা দু’দিন পরপর প্রেমিক বা প্রেমিকা বদলায়। খাওয়ার পাগলরা হোটেল রেস্তোরাঁসহ বাসায় বসে বিভিন্ন খাবারের অর্ডার করে। ক্ষমতার পাগলরা পদ পেতে ঘনঘন দল বদলায়, নেতা পাগলরা যেখানে সেখানে জনসমাবেশ করে।
পাগলের প্রতি করণীয়
উপকারিতা
নীরব পাগলরা চুপচাপ বসে থেকে মানুষকে এড়িয়ে চলে নিজেরাই নিরাপদ থাকে ও মানুষকে নিরাপদ রাখে।
অপকারিতা
এক এক রকম পাগল আমাদের এক এক রকম সমস্যা করে। যেমন- কবি পাগলরা হিংসুটে হয়, ছবি পাগলরা যেখানে সেখানে ছবি তোলে। বিয়ে পাগলরা পরিবেশ নষ্ট করে, প্রেম পাগলরা যখন তখন যাকে তাকে মিসকল দেয় ও রাতের বেলা রংঢংয়ের বার্তা পাঠায়। ক্ষমতার পাগলরা রাজপথে মারামারি করে, নেতা পাগলরা পদ পেলে জনগণের কথা মনেই থাকে না।
উপসংহার
পাগলরা আমাদের সমাজেরই একজন। কারও ভাই, কারও বোন। কাজেই পাগলদের অবহেলা না করে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। তবে শেষে আপনিও পাগল হয়ে সেলফি তুলবেন না বা ভুলভাল কবিতা লিখবেন না!
No comments