Breaking News

আপনি কাকে পাগল বলছেন?

এই প্রশ্নগুলো কি আপনার মনে কখনই উঁকি দেয়নি? যদি দিয়েও থাকে তবে কি সঠিক উত্তর খুঁজে পেয়েছেন? যদি না পেয়ে থাকেন তবে আমি দার্শনিক বলছি- সৃষ্টিকর্তা মানুষকে পৃথিবীতে পাঠানোর আগেই বেঁচে থাকার সমস্ত অবলম্বন এর ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন। তারপর ছেড়েদিলেন মানুষকে- একদম খালি হাতে। সৃষ্টিকর্তার নিরপেক্ষতা নিয়ে আপনার মনে কোন সন্দেহ না থাকলে আপনার যুক্তিবিদ্যার সুইচ অন করে দিন। আলবার্ট আইনস্টাইন এর নাম নিশ্চয় শুনেছেন?- সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী। এবার আপনার কথা বলা যাক- আপনি, একজন মানুষ আইনস্টাইন এর মত! আপনার মাথায় 1.5 কিলোগ্রামের একটা ঘিলু আছে যা নিশ্চয় ঠিক আইনস্টাইন এর মতোয়! (এমন নয় যে আইনস্টাইনের
ব্রেইন এর ওজন এক গ্রাম বেশি ছিল।) আইনস্টাইনের শরীরের লাল রক্তের মতোয় আপনার শরীরের রক্ত! সব কিছুই তো ঠিক আছে! তাহলে আপনার আর আইনস্টাইনের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? আছে তো নিশ্চয়? বের করার দায়িত্বটা আপনার কাধেই ছেড়েদিলাম। মনে রাখবেন কিন্তু আইনস্টাইনও খালি হাতে এসেছিলেন, আপনিও খালি হাতেই এসেছেন। বলেছিলাম না সৃষ্টিকর্তা আমাদের পাঠানোর আগেই বেঁচে থাকার সকল উপকরন পৃথিবীতে সৃষ্টি করে রেখেছিলেন? তিনি তাই রেখেছেন। আর আইনস্টাইন সেই উপকরন খুঁজে বের করেই আজ জগৎবিখ্যাত। আপনি ঘরের কোনে বসে তার বের করা উপকরন নিয়ে নাড়াচাড়া করছেন আর ভাবছেন কবে যে বিখ্যাত হব আর পৃথিবির মানুষ আমাকে বাহবা দিবে!!! উপরের কথা গুলোর সাথে একমত হলে পড়া চালিয়ে যান, অন্যথা আল্লাহ হাফেয। এবার মূল প্রসঙ্গে আসি। আমরা একজন ব্যক্তিকে বলছি পাগল। আইনস্টাইনের যুগেও তাকে তার আমলের মানুষ পাগল ভাবত! কেন জানেন? তখনকার মানুষ তার থিউরিগুলো বুঝতে পারতনা। তাই তাকে অনেকেই পাগল বলত। (পাগল আইনস্টাইননের ভাগ্য ভাল যে সে বাংলাদেশে জন্মেনি। যদি হয়ত তবে পুলাপাইনের গণপিটুনি খাইতে খাইতে মারশাল-আর্ট এর কোন সূত্র আবিষ্কারেরও সুযোগ পাইত না।) কিন্তু এখন আমরা বুঝতে পারছি তার আবিষ্কার কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখানে কেবল আইনস্টাইন এর কথাই বলেছি। আমাদের লালন ফকিরকেও মানুষ পাগল বলত। কিন্তু তিনি বলে গেছেন- “খাঁচার ভেতর অচিন পাখি কেমনে আশে-যায়!!” এমন দুইএকটা কথা আপনি বলেন তো দেখি? তার এ কথাটা কে নিয়ে আপনি গভীর ভাবে চিন্তা করলে উপলব্ধি করতে পারবেন যে একটা মানুষ কোন লেভেল এ পৌঁছাতে পারলে তার মুখ দিয়ে এমন কথা বের হয়। আমাদের মহানবী (সাঃ) কেও তায়েফবাসী পাগল বলে পাথর নিক্ষেপ করেছিল। কারন তারা তখনও ইসলামকে উপলব্ধি করতে পারেনি। তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়াল যে আমরা যদি কোন মানুষের লাইফস্টাইল অথবা চিন্তাভাবনা বুঝতে না পারি, তাহলেই তাকে পাগল বলে গালি দেয়! কিন্তু এটা বোঝার চেষ্টা করিনা যে তার চিন্তাভাবনা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি developed যে কারনে আমরা তাকে বুঝতে পারছি না। এক্ষেত্রে আমি পাগল কে 3G বলব, আর যারা পাগল বলে গালি দেয় তাদের বলব 2G। আমরা যখন 2G যুগে ছিলাম তখন 3G কি জিনিষ তা বুঝতে পারাটা অনেক কঠিন ছিল। আমরা এখন 3G যুগে চলে এসেছি। এখন 3G এর ম্যাকানিসম এবং সুবিধা আমাদের কাছে কাল্পনিক বা অবিশ্বাস্য নয়। তাই আমি বলব- আপনি যাকে পাগল বলছেন সে আছে 3G যুগে, আর আপনি পরে রয়েছেন 2G যুগে। তাই পাগলের লাইফস্টাইল বা চিন্তাভাবনা আপনার কাছে বিভ্রান্তিকর এবং গুরুত্বহীন মনে হয়। যেমন গুরুত্ব পায়নি লালন সহ হাজারও
মানুষ। কিন্তু এখন আমরা লালনের উপরে গবেষণা করছি, তার লিখা গান গুলোর উপর PhD করছি! তৎকালীন পাগল আজকের আধ্যাত্মিক গুরু! ততকালীন পাগল আজকের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী! তৎকালীন পাগল আজকের শ্রেষ্ঠনবী! আজকের পাগল যে আগামির আধ্যাত্মিক গুরু হবে না তার কি নিশ্চয়তা আপনি দিতে পারবেন? আপনি যখন 3G তে নিজেকে update করে নিতে পারবেন ঠিক তখনি আপনি যাকে পাগল বলছেন তাকে বুঝতে পারবেন। শেষকথা- মনে রাখবেন, যাকে দেখে আপনার পাগল বলে মনে হবে, ভাববেন সে আপনার থেকে updated একজন মানুষ। তার thinking level আপনার থেকে অনেক high. মানুষ যখন সৃষ্টির নতুন কোন রহস্য খুজে পায় তখন আর 2G তে পরে থাকে না। সে চলে যাই 3G জগতে। সেখানে গিয়ে আবারো সৃষ্টির নতুন কোন রহস্য উন্মচনে ব্যস্ত হয়ে পরে। তাই আপনার সাথে ওর সামঞ্জস্যতা খুঁজে পাওয়া যায়না। আর মিল না পেলেই যে আপনি তাকে পাগল বলবেন এটা তো ঠিক না।


Download File

 আপনি অলস, সৃষ্টির স্বাদ আপনি নিতে পারননি, তাই আপনি অধম...। আর কিছু কথা- মানুষ মোবাইল, কম্পিউটার, ফেইসবুক ইত্যাদি ব্যাবহার করলেই updated বা আধুনিক হয়ে যায় না যতক্ষণ না পর্যন্ত মনকে আধুনিক করতে না পারে।
এখন ও বুঝতে না পারলে আমার সাথে দেখা কয়রেন। জনমের মত বুঝিয়ে দিব।

No comments